কর ফাঁকির অভিযোগে মেসি ও তাঁর বাবাকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেনের আদালত।
কোপা আমেরিকা চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে শিরোপা জয়ের স্বাদ পাননি এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। সেই হতাশা থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকেই বিদায়ের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তিনি।
সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই মেসি শুনলেন স্প্যানিশ আদালতের রায়। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার কর ফাঁকির অভিযোগে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে মেসি ও তাঁর বাবাকে। কর ফাঁকির তথ্য ফাঁস করা পানামা পেপার্সেও নাম ছিল বার্সেলোনার এই তারকার।
Read More News
মেসিকে অবশ্য হাজতবাস করতে হবে না। কারণ স্পেনের আইন অনুযায়ী, সাজার মেয়াদ দুই বছরের কম হলে সেই সময়টা জেলের বাইরেও কাটানো যায়। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে আগে যদি কোনো অপরাধী কর্মকাণ্ডের রেকর্ড না থাকে। ২১ মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি মোটা অঙ্কের জরিমানাও দিতে হবে মেসি ও তাঁর বাবাকে। মেসিকে জরিমানা দিতে হবে ২ মিলিয়ন ইউরো। আর তাঁর বাবাকে ১.৫ মিলিয়ন ইউরো।
স্পেনে কর ফাঁকির এই মামলায় মেসি ফেঁসেছিলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই। বরাবরই অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। আর মেসির বাবা সব দোষ নিয়েছেন নিজের কাঁধে। মেসির আইনজীবীরা বলেছেন, অর্থনৈতিক লেনদেনের ব্যাপারে মেসি নিজে কিছুই জানেন না। এগুলো তাঁর বাবাই দেখাশোনা করেন। ২০১৩ সালের আগস্টে ক্ষতিপূরণ হিসেবেও মেসি দিয়েছিলেন ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু কোনো কিছু করেই নিস্তার পেলেন না আর্জেন্টাইন এই তারকা।