গত সোম এবং মঙ্গলবার ছিল ছাত্রলীগের দুদিনব্যাপী বর্ধিতসভা ও কর্মশালা। কর্মশালা শেষে মঙ্গলবার রাতে ছাত্র সংগঠনটির সব পর্যায়ের নেতারা গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ করে কারও মঙ্গল করা যায় না, কোনো দেশ এগোতে পারে না।আমরা কখনোই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেব না।”
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলতে তোমরা কাজ করবে।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। কারও কাছে আমরা মাথা নত করব না, শুধু আল্লাহ ছাড়া।”
ছাত্রলীগ নেতাদের আদর্শ নিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্ষমতার লোভে পড়ে ব্যক্তিগত চাহিদাকে প্রাধান্য দিলে দেশকে কিছু দিতে পারবে না।”
Read More News
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একজন রাজনীতিবিদের রাজনৈতিক ও চারিত্রিক দৃঢ়তা থাকতে হবে। মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে হবে; না হলে রাজনীতিবিদদের জীবনটাই ব্যর্থ।”
শিক্ষাখাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি শিক্ষানীতির পক্ষে প্রচার চালাতেও ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। নিরক্ষরতা দূর করতেও ছাত্রলীগকে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষের কাছে যেতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে যে কাজ আমরা করছি, তার ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। আমরা শতভাগ স্বাক্ষরতার দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই।”
ছাত্রলীগ নেতাদের নিজেদের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো জানাতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বক্তব্য রাখেন।