বিদেশিসহ তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার তাদের সাংবাদিকদের সামনে এনে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
“গ্রেপ্তারকৃত বিদেশির সঙ্গে বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের সখ্য আছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এই সখ্যতা তার মানব বিদেশে পাঠানো নিয়ে, না এটিএম কার্ড জালিয়াতির বিষয়ে, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।”
Read More News
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের পর বিদেশি পিওতর (টমাস পিটার) এবং সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা মোকসেদ আলী মাকসুদ, রেজাউল করিম শাহীন, রেফাত আহমেদ রনিকে আদালতে পাঠানো হয়।
তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় পুলিশের আবেদনে সায় দিয়ে বিচারক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকায় তিনটি ব্যাংকের ছয়টি এটিএম বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির পর কার্ড ক্লোন করে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) ও সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করলে তার তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ইউসিবি মামলার এজাহারের সঙ্গে এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা এক বিদেশির ছবিও যুক্ত করে দিয়েছিল, ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পিওতরকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, ইউক্রেইনে জন্মগ্রহণকারী পিওতর পোল্যান্ডের ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে বিয়ে করে সংসার পেতেছিলেন। তার কাছে জার্মানির একটি পরিচয়পত্রও পাওয়া গেছে।
“প্রথম কয় মাস সে গুলশানের ‘হলি ডে প্লানেটে’ ছিল। পরে এক নারীকে বিয়ে করে গুলশানের এক বাসা ভাড়া নেয়। তার এক সন্তানও হয়েছে।”
গুলশানের ওই ভাড়া বাসা থেকে রোববার সন্ধ্যায় পিওতরকে গ্রেপ্তার করা হয় । পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার পিওতর একটি আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্রের সদস্য। বুলগেরিয়া এবং ইউক্রেইনের এক নাগরিককে নিয়ে এই জালিয়াতির পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন তিনি।