হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় চার শিশু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন আসামি রুবেল মিয়া। তিনি প্রথম দফায় গ্রেপ্তার হওয়া আবদুল আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতেই আজ শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার হওয়া রুবেল মিয়া, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বসির মিয়া ও আরজু মিয়াকে বিচারিক হাকিম-১ আদালতের বিচারক কৌশিক আহম্মদ খোন্দকারের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রুবেল মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আদালতে রুবেল মিয়ার জবানবন্দি চলছিল।
এর আগে পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান বলেন, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁরা সবাই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে কমবেশি জড়িত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের পরিবারের বিরোধ দীর্ঘদিনের। মাসখানেক আগে সীমানা বিরোধ ও গাছ কাটা নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে বিষয়টি সালিশেও গড়ায়।
এসপি জয়দেব কুমার ভদ্র ব্রিফিংয়ে বলেন, ওই সালিশে স্থানীয় বাগালের সমর্থক আরজু ও স্থানীয় অটোরিকশা চালক বাচ্চু মিয়া ‘অপমানিত হওয়ায়’ তালুকদার পঞ্চায়েতের শিশুদের হত্যার পরিকল্পনা করে।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে জয়দেব ভদ্র বলেন, রুবেল মিয়া নিজে এবং আজিজুর রহমান আরজু, হেলাল, শাহেদ ও উস্তার ওই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। এর মধ্যে রুবেল ও আরজুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও হেলাল, শাহেদ ও উস্তার পলাতক আছেন।
এছাড়া আব্দুল আলী বাগাল, তার আরেক ছেলে জুয়েল মিয়া ও বশির মিয়া নামের আরেকজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার রয়েছেন। আব্দুল আলী ও জুয়েলকে দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।