বরিশালের ঐতিহ্য ভাসমান হাট

বৃহত্তর বরিশালের ঝালকাঠি, পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি ও বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকাজুড়ে রয়েছে একাধিক ভাসমান হাট।
একের পর-এক নৌকা আসছে, যাচ্ছে। নৌকায় করে সবজি, ফল, চাল বা ডালসহ নানান ফসল নিয়ে ঘাটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষজন। বিক্রয় করে আবার নৌকা বেয়ে ফিরে যাচ্ছেন তারা। অনেকে আসছে-যাচ্ছে নদীপাড় ধরে সড়কপথেও।

এরমধ্যে ঝালকাঠির সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ভীমরুলি, পিরোজুপরের স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের আটঘর ও কুড়িয়ানা এলাকার বিভিন্ন খালের ভেতরে অবিস্থত ভাসমান হাটগুলো মৌসুমী ফসল, ও শাক-সবজির জন্য বিখ্যাত।
Read More News

আর বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা সদর সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে বসা ভাসমান হাট বিখ্যাত ধান ও চালের জন্য। বাভাবিক সময়ে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে নদী ও খালে বসে এ ভাসমান হাট। তবে ফল-ফসলের মৌসুমে প্রতিদিনই ভাসমান এ হাট জমে ওঠে। তবে পেয়ারা বা আমড়ার মৌসুমে আটঘর-কুড়িয়ানার ভাসমান হাটগুলো বেশি জমজমাট হয়ে ওঠে। সারাবছরই সপ্তাহে দুই বা তিনদিন এ হাট বসে। একই অবস্থা ধান-চালের ভাসমান হাটেরও।

এসব হাটের ক্রেতারা মূলত পাইকার নামে পরিচিত। ফলে ভাসমান এসব হাট থেকে খুচরা ক্রেতারা তেমন গুরুত্ব পান না। হাটবারে বড় বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে এসব হাটে আসেন পাইকাররা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এখন সড়কপথেও মাঝারি আকারের যানবাহন নিয়ে আসেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *