আগুনটা নিভছে না। ছড়িয়ে পড়ছে দাবানলের মতো। হৃতিক রোশন-কঙ্গনা রানাউতের সম্পর্ক ঘিরে বিতর্ক ছুঁয়েছে অন্য মাত্রা। সম্প্রতি হৃতিক পুলিশের কাছে কঙ্গনার পাঠানো এমন কিছু ই-মেল জমা দিয়েছেন, যা থেকে মনে হচ্ছে, এই সম্পর্ক একেবারেই এক তরফা। কঙ্গনাই নিজের কল্পনায় যা ভেবে নিয়েছিলেন— এমনটাই দাবি এক দৈনিকের। তারা জানিয়েছে, ই-মেলে কঙ্গনা নাকি লিখেছেন তাঁর ‘অ্যাসপারগারস সিনড্রোম’ (সহজ সামাজিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে অক্ষমতা) ছিল। সব মিলিয়ে এখন হৃতিকের আইনজীবীরা বলছেন, তাঁদের মক্কেল নির্দোষ। যত গণ্ডগোলের মূলে কঙ্গনাই!
Read More News
তবে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকির অবশ্য দাবি, তাঁর মক্কেলের ইমেল হ্যাক করা হয়েছে। আইনজীবীর বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘কঙ্গনার অভিযোগ, হৃতিক রোশন ধারাবাহিক ভাবে তাঁর ইমেল হ্যাক করেছেন। যার জন্য কঙ্গনাকে দু’টি মেল আইডি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।’’
পাল্টা হৃতিকের আইনজীবী বলছেন, ছ’মাস ধরে কঙ্গনা হাজার হাজার মেল পাঠিয়েছেন হৃতিককে। পুলিশের কাছে জমা ইমেলগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে, কোনও কোনও দিন ছ’মিনিট অন্তর হৃতিককে মেল করেছেন তিনি। একটি মেলে নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে হৃতিকের উদ্দেশে কঙ্গনা নাকি লিখেছেন, ‘‘আমরা যখন প্রথম বার একসঙ্গে থাকব, এমন কিছুই তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।’’ আইনজীবীরা দেখিয়েছেন, ২০১৪ সালের ৪ অক্টোবরের একটি ইমেল থেকে পরিষ্কার যে হৃতিক তাঁর এই সব কথায় প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। ইমেলে লেখা, ‘‘সকালে উঠে প্রথমে তোমার নাম দিয়ে গুগলে খুঁজি। দিন শুরু করার আগে যদি একটাও নতুন ছবি দেখতে পাই, একটা নতুন কোনও ইন্টারভিউ, বা কোনও খবর…। আশা করি এই রুটিন তাড়াতাড়ি শেষ হবে। তোমায় গুগলে না খুঁজে ফোন করে তোমার গলা শুনব। তোমার সঙ্গে কথা বলে দিন শুরু হবে আমার।’’
ওই বছরেরই ৩ সেপ্টেম্বর পাঠানো একটি ইমেলে রয়েছে, ‘‘এই মেলগুলো পাঠানো খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। উত্তরে কিছুই পাচ্ছি না।’’ তার আগে অগস্ট মাসে আর একটি মেলে লেখা, ‘‘অ্যাসপারগারস সিনড্রোম রয়েছে আমার। এ ধরনের মানুষ অনেক সময় কাল্পনিক সম্পর্কে বাঁচেন। কিছু দিন ধরে তোমার সঙ্গেই থাকছি বলে মনে হচ্ছে।’’
প্রশ্ন উঠেছে প্যারিসে হৃতিকের প্রেম নিবেদন করা নিয়ে কঙ্গনার দাবি ঘিরেও। গত ১৭ মার্চ কঙ্গনার এক বন্ধু জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্যারিসে কঙ্গনাকে প্রেম নিবেদন করেন হৃতিক। যে দাবি প্রথমেই অস্বীকার করে হৃতিক জানান, তিনি ওই সময়ে প্যারিসে ছিলেনই না। পরে তাঁর আইনজীবীরা পাসপোর্ট প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে বলেন, তাতেও ওই সময়ে প্যারিস সফরের কোনও প্রমাণ নেই।