বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কাছে কেরানীগঞ্জে নির্মিত নতুন একটি কারাগার কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেছেন।
এই কারাগারটি চালু করবার পর ঢাকার পুরনো অংশের বর্তমান কেন্দ্রীয় কারাগারটিকে বাতিল করবার একটি কথা রয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান কারাগারে থাকা প্রায় আট হাজার বন্দীকে কিভাবে সড়কপথে সাত কিলোমিটার দূরবর্তী নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে?
কর্মকর্তারা বলছেন, আজ উদ্বোধনের পরপরই তারা বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করে ঠিক করা হবে এই প্রক্রিয়া।
মহাপরিদর্শক (কারাগার) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বিবিসিকে বলছেন, সব বন্দীকেই প্রিজন ভ্যানে করে সরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করা হবে, সব কয়েদীকে একদিনেই সরিয়ে নেয়া যাবে নাকি দুদিনে সরাতে হবে।
Read More News
“আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী যেসব বাহিনী আছে – পুলিশ এবং বিজিবি, আনসার সবার সহযোগিতা নিয়ে রাস্তাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ করে এবং প্রিজন ভ্যানে করে তাদের এসকর্ট করে নিয়ে আসব”, বলছেন জেনারেল উদ্দিন।
তবে এখনই বন্দীদের সরানো হচ্ছে না। এ মাসের আরো পরের দিকে এক কাজটি করা হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
এদিকে নতুন কারাগারটিতে ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হলেও তাতে পুরনো কারাগারের সব বন্দীদের স্থান সঙ্কুলান হবে না বলেই জানা যাচ্ছে।
বর্তমান কারাগারে আড়াই হাজারের মতো ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে আট হাজারের মতো বন্দীকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হচ্ছে।
নতুন কারাগারে ধারণক্ষমতা সাড়ে চার হাজারের মতো।
স্থান কিছুটা বাড়ছে কিন্তু বন্দীদের দুর্দশা দূর হবার মতো যথেষ্ট নয়। এখানেও সেই আট হাজার কয়েদীকে ঢোকানো হচ্ছে।
মহাপরিদর্শক (কারাগার) বলছেন, ২৬৮০ জনের মধ্যে আট হাজার থাকছে। এখন ৫৪৯০ জনের একোমোডেশনের মধ্যে হয়তো আমাদের আট হাজার রাখতে হবে। তাতে করে অবস্থার অনেক অনেক বেশী উন্নতি হবে”।
আমাদের দেশের মতো পরিস্থিতিতে একসাথে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। প্রতিটি আসলে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হবে। আমরা আগের অবস্থা থেকে একটু উন্নত পর্যায়ে যাচ্ছি”।