বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এখন এক ভীতিকর রাজ্যে বসবাস করছি। সারাদেশের মাটি আজ মানুষের তাজা রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। দেশে কেবলই স্বজনহারাদের বুকফাটা আর্তনাদ। বর্তমান শাসকদলের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, খুন, জখম এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে অপহরণ, গুম, গুপ্তহত্যা ও নির্বিচারে গ্রেফতার বর্তমান সময়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত ৩১ মার্চ নির্বাচনী সহিংসতায় মানিকগঞ্জ জেলাধীন দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও জিয়নপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো: আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের লোকদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
Read More News
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে গতকাল ভোলা জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে মিছিল হয়। পরে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ট্রম্যান রাতে বাসায় ফিরে আসলে আওয়ামী লীগের একদল সন্ত্রাসী তার বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তিনি এখন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর বনানী থানা শাখার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসব বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি নেতা মো: আবদুল হামিদের মৃত্যু এবং হারুন অর রশীদ ট্রম্যান এর ওপর হামলা এবং তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এসব অমানবিক, পৈশাচিক ও নৃশংস ঘটনায় কোন ভাষায় নিন্দা জানাবো তা আমাদের জানা নেই। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে মো: আবদুল হামিদ এবং হারুন অর রশীদ ট্রম্যান এর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর জানান। তিনি আবদুল হামিদ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব গ্রেফতারকৃত বনানী থানা শাখা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।