ক্যান্সার থেকে ছেলের সুস্থ হয়ে ওঠার জার্নি নিয়ে বই লিখলেন হাশমি

হোক না বাবার নাম ইমরান হাশমি। তিনি যতই অনস্ক্রিনে নায়িকাদের সঙ্গে ‘লিপলক’-এ ভীষণ ভাবে পটু হোন না কেন, ক্যান্সার ব্যধিটির তা নিয়ে বিলকুল মাথা ব্যাথাটিও নেই। আর তাই, সুযোগ বুঝেই ইমরানের ছেলে আয়ানের শরীরে বাসা বেঁধেছিল সে। মাত্র তিন বছর দশ মাস। একরত্তি ছেলেটার শরীরের মধ্যে একটু একটু থাবা বসাচ্ছিল ক্যান্সারের জীবানু। ধীরে ধীরে ফিঁকে হয়ে যাচ্ছিল ফুটফুটে আয়ানের মুখখানা।
এই বয়সেই কেমোথেরাপির মত কড়া চিকিৎসার জ্বালা-যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আয়ানের চোখের কোনা দিয়ে জল গড়িয়ে, ভিজিয়ে দিত ইমরানের বুক। ছোট্ট সোনার এত কষ্ট যে আর সহ্য হয় না ইমরানের। শুটিংয়েও ঠিক মতো মন বসাতে পারত না সে। চোখের জল মুছিয়ে বাবাকে আশ্বাস জাগিয়েছিল খোদ আয়ানই। সেকেন্ড রাউন্ড কেমোথেরাপির পরেই অদ্ভুতভাবে বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছা জেগে উঠেছিল তার মধ্যে। এমনকি তার বাবাকে চিকিৎসাতেও নাকি যথেষ্ট সাহায্য করেছিল ইমরান-পুত্র। আয়ান তাঁর বাবাকে বলেছিল, ‘তার মনে হচ্ছে কিডনিতে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হয়েছে।’ টোরান্টোতে নিয়ে যাওয়া হয় আয়ানকে। ওখানেই দিনের পর দিন কঠিন চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে গিয়ে, গত দু’বছর ধরে সম্পর্ণ সুস্থ সে। কিন্তু ছ’বছরের আয়ানের সুস্থ হয়ে ওঠার যাত্রাটা অতটা সহজ ছিল না। সেই সব মানসিক দ্বন্দ্ব আর টানাপড়েন, ছোট্ট আয়ানের চিকিৎসার সমকার ঘটনা নিয়ে আস্ত একটা বই লিখে ফেলেছেন ইমরান হাশমি।
লেখক বিলাল সিদ্দিকি’র সঙ্গে মিলে ‘দ্য কিস অব লাইফ-হাউ এ সুপারহিরো অ্যান্ড সন ডিফিটেড ক্যান্সার’ নামে বইটি এর মধ্যেই বি-টাউনে বেশ সাড়া ফেলেছে। সলমন খান, অক্ষয় কুমারের মত অভিনেতা ইমরানের লেখা বইয়ের কপি পড়ে থাম্বস আপও করেছেন। ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। এই বইটি প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে ইমরানের সূক্ষ্ম চিন্তা-ভাবনার। শুভেচ্ছা-বার্তায় ভরে উঠেছে হাশমি’র টুইটার পেজ।
Read More News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *