স্কটল্যান্ডের ওর্কনি দ্বীপপুঞ্জের সামুদ্রিক প্রাণী সিলদের কপালেও এবার মোবাইল স্মার্টফোন জুটতে চলেছে। ওই এলাকায় সিলের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে, সেই গবেষণার অংশ হিসেবেই ওর্কনি সিলদের এই প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রুজের ‘সি ম্যামাল রিসার্চ ইউনিট’ (এসএমআরইউ), অর্থাৎ যে বিভাগ সমুদ্রের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা করে থাকে, তারাই আগামী তিন বছর ধরে এই সমীক্ষা চালাবে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্টিস্টরা বেশ কতগুলো সিলের মাথার পেছনে এই মোবাইল স্মার্টফোন প্রযুক্তি লাগিয়ে দেবেন।
সিলের মাথার পেছনে যে নরম পশম থাকে, সেখানেই তাদের কোনও ক্ষতি না-করে এই ‘টেলিমেট্রি ট্যাগ’গুলো লাগিয়ে দেওয়া হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই ট্যাগগুলো ওজনে খুব হালকা হবে। আর সিলগুলো যখন তাদের চামড়া খসিয়ে ফেলবে, তখন এই ট্যাগগুলোও তাদের গা থেকে ঝরে পড়বে।
মোবাইল স্মার্টফোন যে পদ্ধতিতে কাজ করে, এই মেরিন টেলিমেট্রি ট্যাগগুলোতেও অবিকল একই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়। ট্যাগ-লাগানো সিলগুলো যখনই সমুদ্রের ওপর ভেসে উঠবে অথবা সৈকতে বিশ্রাম নিতে আসবে, সেখান থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরাসরি পৌঁছে যাবে এসএমআরইউ-এর বিজ্ঞানীদের কাছে। তারা সেগুলো বিশ্লেষণ করবেন।
সিলদের গায়ে লাগানোর জন্য এই মেরিন টেলিমেট্রি ট্যাগগুলো সরবরাহ করছে মোবাইল ফোন সংস্থা ভোডাফোন। তারা বলছে, আজকালকার নতুন সব গাড়ি, হার্ট মনিটর কিংবা স্মার্ট মনিটরে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় – এখানেও ঠিক সেটাই কাজে লাগানো হবে।