ব্রিটেনে বিশেষ করে এশিয়ান জনগোষ্ঠীর মধ্যে জোরপূর্বক বিয়ে ঠেকানোর জন্য ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে মেডিক্যাল কিছু শিক্ষার্থীর জন্য এ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে তারা মেয়েদের অভিব্যক্তি দেখে বুঝতে পারে যে তাদের ওপর বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা।
বিবিসির এশিয়ান নেটওয়ার্কের পুনম তানেজা জানাচ্ছেন, এক জরিপে দেখা গেছে ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যে ১ হাজার ২শটি জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।
সরকার বলছে, এটা ঠেকানোর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এ কারণেই প্রশিক্ষণার্থী ডাক্তারদের শেখানো হচ্ছে কিভাবে বিভিন্ন লক্ষণ দেখে তারা বুঝতে পারবেন যে জোরপূর্বক বিয়ের ঝুঁকিতে কেউ আছে কিনা ।
Read More News
এরকমই একজন শাহীন আশমত, যিনি মাত্র ১২ বছর বয়েসে পুলিশ ও সমাজকর্মীদের সাহায্য নিয়ে জোরপূর্ব বিয়ের হাত থেকে বেঁচেছিলেন।
তিনি বলছিলেন, আমাকে হয়তো পাকিস্তান নিয়ে গিয়ে অপরিচিত একজনের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়া হতো।
আসমা আশরাফ ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে একজন গবেষক নার্স হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলছিলেন, জোরপূর্ব বিয়ের ঝুকিতে কেউ থাকলে তার মধ্যে বিষণ্ণতা, মনমেজাজ খারাপ থাকা, বা নিজেকে নিজে কষ্ট দেয়ার মতো আত্মধ্বংসী প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, এরকম মেয়েদের ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় সেবা বা সহায়তা দিতে পারেন।
২০১৪ সালে ব্রিটেনে জোরপূর্বক বিয়েকে একটি অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।