পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার মাহামুদ কাঠী ইছামউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পিটিয়ে হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
Read More News
আহত শিক্ষার্থীর বাবা বাবুল আক্তার বলেন, ২০ মার্চ গনিত ক্লাসে আমার মেয়েকে শিক্ষক বায়েজীদ হোসেন বেত দিয়ে পেটান। এতে মেয়ের ডান হাতের একটি আঙুল ভেঙে যায়। তার হাতের আঙুল প্লাস্টার করতে হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তৌফিকুজ্জামান বলেন, ওই ছাত্রীকে মারার খবর শোনার পর আমি গণিতের শিক্ষক বায়েজীদ হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ছাত্রীটি ক্লাসে অমনোযাগী থাকায় তাকে মেরেছেন।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, নির্বাচনি দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারিনি। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ২৪ মার্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করে শিক্ষক বায়েজীদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় তিনি জানান, মাত্র চার মাস আগে বায়েজীদ হোসেন এ বিদ্যালয়ে গণিতের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক বায়েজীদ হোসেন ঘটনাটি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর হাতে একটা পিটুনি দিয়েছি। তবে এতে তার আঙ্গুলে ব্যথা লাগবে তা বুঝতে পারিনি।