বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আগামী বুধবার শেষ বিকেলের দিকে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান অনুযায়ী অনুমান করা হচ্ছে, এটি বেশ শক্তি নিয়েই আঘাত হানবে এবং বেশকিছু সময় ধরে তাণ্ডব চালাবে।
এরই মধ্যে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন উপকূলে বৃষ্টি ঝরছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও বাড়বে। এজন্য উপকূলবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ শুরু হয়েছে। ঝড়ের সবশেষ তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের জন্য খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণকক্ষ।
Read More News
আবহাওয়াবিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি এখনো সাগরে আছে। এখন বর্ষাকালে তো এমনিতেই বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেও বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টিটি আজ গভীর রাত বা কাল ভোরে ঢাকাসহ সারা দেশেও হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।