যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ লিবিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক পক্ষ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে পুনরায় কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় ভিসা পেয়েও সে দেশে যেতে পারছে না অনেক বাংলাদেশি কর্মী। এনিয়ে অপেক্ষায় থাকা কর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, লিবিয়ার সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজমান থাকায় কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ২১ নভেম্বর এক পত্রের মাধ্যমে সকল রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মীদের ভিসা স্ট্যাম্পিং বন্ধ রাখার আদেশ দেয়।
Read More News
কয়েক হাজার কর্মীর নামে ভিসা ইস্যু হলেও এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে আপাতত কর্মী না পাঠাতে লিবিয়া দূতাবাস থেকেও অনুরোধ জানানো হয়। ফলে সকাল প্রস্ততি সম্পন্ন করা কর্মীদের শুরু হয় অপেক্ষার পালা। লিবিয়ায় আপাতত (আপদকালীন) কর্মী না পাঠানোর সরকারের ঘোষণার এক মাসের মাথায় লিবিয়াগামী কর্মীদের ছাড়পত্র প্রদানের অনুমোদন না পাওয়ায় লিবিয়া যেতে ইচ্ছুক ভিসাপ্রাপ্ত কিছু কর্মী চলতি বছর ১৩ মার্চ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এ ব্যাপারে বায়রা সভাপতি আবুল বাশার বলেন, বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য লিবিয়া একটি বৃহত্তম শ্রমবাজার। সেখানে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ হাজার কর্মী বসবাস করছেন। তারা ছুটিতে দেশে আসছেন আবার ফিরে যাচ্ছেন। এতে তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, লিবিয়ার ব্যবসা ওপেন কীভাবে করা যায় সেজন্য আজকেও (বৃহস্পতিবার) প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি এ ব্যাপারটি ভালভাবে দেখার জন্য সচিব এবং ডিজি (বিএমইটি) মহোদয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
কী পরিমাণ ভিসা অনুমোদন রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে আবুল বাশার বলেন, প্রায় ১০ হাজারের মতো ভিসা রয়েছে বলে শুনেছি। তবে সেটা মাস ট্রেডের হারুন সাহেব (মাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের এমডি, আমিনুর রহমান হারুন) ভাল বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে আমিনুর রহমান হারুনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য যে, লিবিয়া এক সময় বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার ছিল। ২০১১ সালে গাদ্দাফি সরকারের পতনের পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলে আসছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে বর্তমানে দুইটি গ্রুপ নিজেদের শাসক (সরকার) হিসেবে দাবি করে আসছে ।