শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। সোমবার (১৫ মার্চ) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইল কোর্ট করার ব্যাপারে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিটি হাসপাতালে করোনা ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কাজ করছে, এটি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে করোনায় মৃত্যুর হার হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় সরকার সতর্ক, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানাই মূল কারণ।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে শেষে জানান, আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। তবে, গত শুক্রবার (১২ মার্চ) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ পেছাতে পারে।
Read More News
তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকদের নিরাপত্তা আগে। করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তের তারিখ পেছাতে পারে।
এদিকে গতকাল রোববার (১৪ মার্চ) পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ দেশের সাধারণ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি পর্যায়ের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো-
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি আগামী ৩০ মার্চের আগেই সম্পন্ন করতে হবে।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কার অথবা মেরামতের প্রয়োজন হলে তা ৩০ মার্চের আগে সম্পন্ন করতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কার অথবা মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলার বিষয়টি মনিটরিং করবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবস পাঠদান শেষে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে।