স্বপ্ন পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে

শেষ স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে পদ্মা নদীর দুই পারের সংযোগ গড়ে দিল স্বপ্নের সেতু। চোখের সামনে দৃশ্যমান এখন পুরো পদ্মা সেতু। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সবশেষ ৪১তম স্প্যানটি সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। এর মাধ্যমে সম্পন্ন হলো পদ্মা সেতুর মূল কাজ।

কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে প্রকৃতির সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ঠেলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাংলাদেশের গৌরবময় বাস্তবতা। স্বপ্ন এখন সত্যি। সূর্যের নিয়ন ছটায় পুরো সেতুর দৃশ্যমান চিত্র পদ্মার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। বুক চিতিয়ে নদীর মাঝখানে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ।
Read More News

স্বপ্ন পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে সেতুর পরিপূর্ণ রুপ দিতে আজ দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ৪১তম স্প্যান বসার মধ্যে দিয়ে জোড়া লাগে, যুক্ত হয় পদ্মার দুই পার, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা। দীর্ঘ এই সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সেতুর শেষ স্প্যানটিতে চায়না ও ইংরেজি ভাষায় কিছু বার্তা লিখেছিল প্রতিষ্ঠানটি। শেষ স্প্যান বসানোর মতই যে লেখার প্রতি কৌতূহল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের। স্প্যান ও স্প্যানবাহী ক্রেনের গায়ে চীনা ভাষায় লেখা ছিল পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য একটি শুভেচ্ছা বার্তা।

চীনা ভাষা থেকে অনুবাদ করলে যার অর্থ দাঁড়ায় ‘অতিযত্ন সহকারে নানা সমস্যা মোকাবিলা করে শিগগিরই আমরা এ সেতু বাস্তবে রূপ দেব। আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।

শেষ স্প্যানের দুই মাথায় ছিল দুই বন্ধু দেশের পতাকা। বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান সেতুর সৌন্দর্য দেখতে উপস্থিত হন অসংখ্য মানুষ। উচ্ছাস প্রকাশ করেন তারা।

পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি খুঁটির ওপর বসেছিল ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। নকশা পরিবর্তন, তীব্র স্রোতে নদী ভাঙন, করোনা পরিস্থিতির সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাকি ৪০টি স্প্যান বসাতে তিন বছর দুই মাস লাগল। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে আলোচিত পদ্মা সেতুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় কাজের সমাপ্তি হলো। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে সেতু দিয়ে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *