বৃটেনে প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে ৯০ বছর বয়সী মার্গারেট কীনান’কে। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে তার দেহে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই টিকা প্রয়োগ করেন নার্স মে পারসন্স। তিনি কভেন্ট্রির স্থানীয় একটি হাসপাতালের নার্স। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের স্বীকৃত টিকা বিশ্বের মধ্যে প্রথম প্রয়োগ করা হলো।
কভেন্ট্রির মার্গারেট কীনান আনুষ্ঠানিকভাবে এই টিকা নেয়া বিশ্বের প্রথম মানুষ হিসেবেও ইতিহাস হয়ে গেলেন। আগামী সপ্তাহে তার বয়স হবে ৯১ বছর। তিনি স্বর্ণালঙ্কারের দোকানে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন এক সময়। সেখান থেকে মাত্র চার বছর আগে অবসরে গিয়েছেন। তার একটি মেয়ে ও একটি ছেলে আছে। আর আছে চারটি নাতিপুতি।
Read More News
টিকা নেয়ার পর তিনি খুব খুশি। বলেছেন, কোভিড-১৯ এর টিকা নেয়া প্রথম ব্যক্তি হতে পেরে আমি নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে করছি। সামনেই আমার জন্মদিন। তার আগেই এটা হলো আমার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার, যাতে আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে পারি। কারণ, এই টিকা নেয়ার উদ্দেশ্য হলো আমি পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নতুন বছর উদ্যাপনের জন্য আরো বেশি সময় পাব। এ জন্য নার্স মে পারসন এবং জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিসের (এনএইচএস) স্টাফদের শুধু ধন্যবাদ দিতে পারি না। তারা আমার ভীষণ যত্ন নিয়েছেন। অন্যদের উদ্দেশে আমার উপদেশ হলো- আপনাকে প্রস্তাব করা হলে এই টিকা নিয়ে নিন। দেখুন আমি ৯০ বছর বয়সে এসে এটা নিতে পারলে আপনিও পারবেন।
নার্স মে পারসন্স বলেছেন, দেশে প্রথমবার একজন রোগীর ওপর এই টিকা প্রয়োগ করতে পারাটা বিপুল সম্মানের। ইউনিভার্সিটি হসপিটালস কভেন্ট্রি অ্যান্ড ওয়ারউইকশায়ার এনএইচএস ট্রাস্টে বক্তব্যকালে তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক দিনে ভূমিকা রাখতে পেরে আমি গর্ব অনুভব করছি। গত কয়েকটি মাস আমাদের সবার জন্য কাজ করা ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে আলোর দেখা পাওয়া যাচ্ছে। নার্স পারসন্সের মূল বাড়ি ফিলিপাইনে। তিনি ২৪ বছর আগে বৃটেনে এনএইচএসে কাজ নেন।
ফাইজার-বায়োএনটেক আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের প্রথম চালান আগামী সপ্তাহে পৌঁছাবে কানাডায়। এই টিকা হাতে পাওয়ার পর ওই সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো কানাডার নাগরিকদের ওপর তা প্রয়োগ করা হবে। সোমবার এমন ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।