স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে সরকার। বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।
করোনার কারণে গেল মার্চ থেকে বন্ধ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। যথা সময়ে পাবলিক পরীক্ষাগুলো আয়োজনের ক্ষেত্রে যে জটে পড়েছিলো সরকার, তা কাটিয়ে ওঠার জোর প্রচেষ্টা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হলো, এ বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে না পিইসি পরীক্ষা।
স্কুল খোলার বিষয়ে তিন ধরণের নির্দেশনা প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে দেয়ার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব জানান, সম্ভব হলে অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাও নিতে পারবে স্কুলগুলো।
Read More News
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, যেহেতু সেপ্টেম্বরে খোলার পরিবেশ হয়নি, সেহেতু সেপ্টেম্বরকে এখন আর বিকল্প হিসেবে ধরছি না। আমরা অক্টোবর-নভেম্বরকে সামনে রেখে পাঠ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছি, সেটাই অনুমোদন করেছে। সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলবে কি না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই হবে।
দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর কোন পদ্ধতিতে ক্লাস পরিচালনা হবে সে বিষয়েও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় খুলে দেয়ার এই পরিকল্পনার প্রজ্ঞাপন শিগগিরই জারি করবে মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তা নির্দেশনা আকারে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
বিদ্যালয় চলাকালীন করণীয় হিসেবে এ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, একসঙ্গে শিক্ষার্থীরা ভিড় করে খেলাধুলা, আড্ডা-গল্প করতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব রেখে হাঁটা-চলা করতে হবে। নোটিশ বোর্ডে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যোগাযোগ নম্বর লিখে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া স্কুলে থাকা শিক্ষার্থীর হঠাৎ করে করোনার উপসর্গ দেখা গেলে স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা নেবে।