মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় রিমান্ডপ্রাপ্ত বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলালকে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের কাছে সিনহাকে হত্যাস্থল পরিদর্শন করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে তাদের নিয়ে বাহারছড়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মামলার তদন্ত সংস্থা। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
সিনহা হত্যাকাণ্ডের মূল ৩ আসামি টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে ঘটনাস্থলেই ঘটনার বিবরণ দেন। এ ৩ আসামিকে গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ৭ দিনের রিমান্ডে র্যাবের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
Read More News
ঘটনার দিক বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রটি যে রকম ছিল, আজকে সেভাবেই সাজানো হয়েছিল। ঘটনার সময় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের ব্যবহৃত গাড়িটির মতো একটি প্রাইভেটকার রাখা হয়েছিল ঘটনাস্থলে। মাত্র এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যেই সেদিন ঘটনাটি কীভাবে সংঘটিত হয়েছিল, তা হুবহু দেখিয়েছেন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা। তাঁদের ঘটনার বিবরণ খুব সূক্ষ্মভাবে প্রত্যক্ষ করছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
পরে বিকেলে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুরো ঘটনাটি এক-দু মিনিটের মধ্যে ঘটেছে। এ সময়ে গাড়ি চেক করা, গাড়িতে পরিচয় জানতে চাওয়া, তারপরে কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গুলিটা হয়েছিল… এই এক-দুই মিনিটের ঘটনাকে বের করতে হলে প্রতিটি সেকেন্ডকে আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রতিটি সেকেন্ড এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কী এমন ঘটেছিল যে, সিনহা গুলিবিদ্ধ করা হয়েছিল। কিংবা লিয়াকত যেটা বলছে, (সিনহা) পিস্তল তাক করে ফেলেছিল। এক মিনিট, ত্রিশ সেকেন্ডের মধ্যে কী এমন হয়েছিল, (সিনহার) পিস্তল তাক করার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল কি না। সেই-বা (লিয়াকত) কেন গুলি করেছিল। এ ব্যাপারে আমরা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি।