ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ, বিচারিক তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনগুলো নতুন করে হাইকোর্টের রিট বেঞ্চে উপস্থাপন করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৩০ লাখ টাকা করে দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন তার কার্যকারিতা আর থাকছে না বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
আগ্নিকাণ্ডে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পৃথক চারটি রিট করে। এর শুনানি নিয়ে ১৫ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আপাতত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ লাখ টাকা করে দিতে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ১৫ দিনের মধ্যে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ওই অর্থ দিতে বলা হয়।
Read More News
হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ আবেদন করে, যা ২১ জুলাই আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল চেম্বার কোর্টে ওঠে। সেদিন চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সেইসঙ্গে আবেদনকারীপক্ষকে (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
আদালতে আজ ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ, তানজিব উল আলম ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী অনীক আর হক, হাসান এম এস আজীম, মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ, নিয়াজ মোহাম্মদ মাহাবুব ও শাহিদা সুলতানা।
পরে আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, সময় সাপেক্ষে চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে ইউনাইটেডের আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আপাতত ৩০ লাখ টাকা করে দিতে হচ্ছে না। তবে রিট আবেদনকারীপক্ষ যেকোনো রিট বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের যেকোনো আদেশ দেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে বলেছেন আপিল বিভাগ।
রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে এখন রিট আবেদনগুলোর ওপর হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি করতে হবে। আদালত ক্ষতিপূরণ প্রদান বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। রিটগুলো আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।