ওসি প্রদীপ কুমার দাস চট্টগ্রাম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে সেখান থেকে তাকে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।অপরদিকে, বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্য লিয়াকতসহ ৮ জনকে কক্সবাজার আদালতে তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে ওসিকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয় পুলিশ। জানা গেছে, আইনগত প্রক্রিয়ায় ওসি প্রদীপকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
Read More News
অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে টেকনাফ থানার মামলার এজাহারে তার নাম রয়েছে জানতে পেরে তিনি আত্মসমর্পণের ইচ্ছা পোষণ করেন। আত্মসমর্পণের জন্য তাকে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু হওয়া মামলায় মোট নয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
এরা হলেন, টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮), বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী (৩১), উপপরিদর্শক নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, সহাকারী উপপরিদর্শক লিটন মিয়া, উপপরিদর্শক টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা।
বুধবার (০৫ জুলাই) রাতে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার কর হয়।
গত ৩১ জুলাই ঈদের আগের রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। তার গাড়িতে থাকা তার সঙ্গী সিফাতের ভাষ্যমতে, সিনহাকে কোনোরূপ জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই চেকপোষ্টে গাড়ি থেকে নামতে বলে চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে হত্যা করেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী।
এর ঘটনার বিচার চেয়ে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।