জালকরণ রোধে রং পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক নিরাপত্তা সুতাযুক্ত ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট প্রচলন করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে নতুন নোটটি ইস্যু করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও নোটটি ইস্যু করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ মূল্যমানের ব্যাংক নোট বিবেচনায় ১০০০ টাকা মূল্যমান নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অধিকতর সুদৃঢ় করা এবং নোট জালকরণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে রং পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংলিত ডিজাইন করা হয়েছে। গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত ১৬০ মিমি ৭০ মিমি পরিমাপের ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট মুদ্রণ করা হয়েছে।
নতুন নিরাপত্তা সুতাটি এর আগে প্রচলনে থাকা নোটের নিরাপত্তা সুতা অপেক্ষা উন্নততর, যা নোট জাল প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রচলিত এ নোটটিতে বিদ্যমান ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোটের রং এবং ডিজাইন অপরিবর্তিত রেখে শুধু নোটের সম্মুখভাগে বামপাশের নিরাপত্তা সুতাটি পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন এ নিরাপত্তা সুতাটি ৫ মিলিমিটার প্রশস্ত এবং নোটে নিরাপত্তা সুতার চারটি অংশ (উইন্ডো) দৃশ্যমান থাকবে। ৫ মিলিমিটার প্রশস্ত নতুন এ নিরাপত্তা সুতায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং ‘১০০০ টাকা’ খচিত রয়েছে যা কতিপয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার দৃশ্যমান অংশে সম্পূর্ণ ও আংশিক এবং কতিপয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার ভিতরে অবস্থান করবে।
Read More News
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরো বলা হয়েছে, নতুন নিরাপত্তা সুতাটি নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সহজে উঠানো সম্ভব হবে না, নোটটি কাত করলে নিরাপত্তা সুতার রং সোনালি থেকে হালকা সবুজ ও গাঢ় সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয় এবং উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে ওপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে।
নোটের রং, ডিজাইন ও অন্য সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য (জলছাপ, ওভিআই কালিতে লেখা ‘১০০০’, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য পাঁচটি বিন্দু, মাইক্রোপ্রিন্ট, খসখসে লেখা, লুকানো ছাপা, নোটের পিছনের দিকে ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ ইত্যাদি) অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রচলনে দেওয়া নতুন এই নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলনে থাকা ১০০০ টাকা মূল্যমানের অন্যান্য নোট (শহীদ মিনার ও কার্জন হলের ছবি সংবলিত হালকা লাল রঙের নোট এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত হালকা বেগুনি রঙের নোট) বৈধ ব্যাংক নোট হিসেবে যুগপৎ চালু থাকবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে।