মানসিক অবসাদ এখনও আমাদের সমাজ বলে,মন খারাপ। অবসাদ সেটা আবার কি। পেট ব্যথা করেছে কি? জ্বর এসেছে? না এগুলো কিছুই না, মন খারাপ। ধুস ওটা আবার রোগ নাকি যতসব। সমাজের বেশির ভাগ মানুষই এখনও মনে করেন ডিপ্রেশনটা কোনও রোগ নয়। আর এই সুযোগেই চোরা মহামারীর মতো বিস্তার লাভ করছে অবসাদ বা ডিপ্রেশন। মানুষ শেষ পর্ষন্ত বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ।
সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার কারণ হিসেবেও উঠে এসেছে অবসাদের কথাই। তাঁর মৃত্যুর পর অনেকেই বলেছেন, এটা করার আগে তোমার মনে কি ছিল একবার বলতে তো পারতে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর কাছের মানুষদের একথা মনে হলেও, বেঁচে থাকতে এ কথা তাঁদের কতটা ভাবিয়েছিল। সোশ্যাল ডিপ্রেশন আমাদের একটা মনের বড় জায়গা জুড়ে থাকে। কিন্তু সেই অবসাদের কথা কাউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলা যায় না।
Read More News
তবে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন পারেন। আজ সুশান্তের মৃত্যুর পর অবসাদ নিয়ে এত কথা হচ্ছে ! অথচ ২০১৫ সালেই ডিপ্রেশন নিয়ে কাজ করার কথা ভেবেছিলেন দীপিকা। শুধু ভাবেননি ! তিনি শুরু করেছিলেন ‘লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন”। মেন্টাল হেল্থ বা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করাই এই ফাউন্ডেশনের কাজ। ২০১৫ থেকে কাজ করে চলেছেন দীপিকা। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেও গভীর অবসাদে ভুগেছেন। সেই সময় একজন মানুষকে দরকার একটা হাত দরকার যাকে সব বলা যায়। তাহলেই মুক্তি পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে ডিপ্রেশন নিয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতেই এই প্রচেষ্টা দীপিকার।
সুশান্তের মৃত্যুর পর যখন মানসিক অবসাদ নিয়ে সকলে কথা বলছেন। তখন আর একবার ২০১৬ সালে এই ফাউন্ডেশনের তৈরি ‘দোবারা পুছো’ ভিডিওটি নিজের ইনস্টাতে শেয়ার করলেন। এই ভিডিও দেখলে চোখে জল আসতে বাধ্য। তিনি লিখলেন, “আজ থেকে আমরা আমাদের আশে পাশের মানুষগুলোর প্রতি আর একটু যত্নশীল হই। যাদের দরকার তাদের মন থেকে উৎসাহ দিই, সাপোর্ট করি।” তিনি ভিডিওটি ট্যাগ করেছেন, ‘দোবারা পুছো’ ও ‘মেন্টাল হেল্থ মেটারস’কে। আজ চিকিৎসক দিবসে মানুষকে আর একবার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন হতে ও ভাবতে বললেন দীপিকা।