বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো তাঁর বক্তব্যে ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ সম্পর্কে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বললেন। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে ‘ভিশন-২০৩০’ রূপরেখা দিতে গিয়ে তিনি ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ ও ‘আইসিটি’ শব্দ ব্যবহার করে নানান পদক্ষেপের কথা বলেন। তবে তাঁর বক্তব্যে কোথাও ‘ডিজিটাল’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। খালেদা জিয়ার সম্পূর্ণ বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এসব জানা গেছে।
খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি-র ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশকে তাল মিলিয়ে চলায় সক্ষম করার লক্ষ্যে এবং প্রযুক্তি ও কৃৎকৌশলের বিষয়ে মানব সম্পদের উৎকর্ষ সাধন এবং অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে আমাদের লক্ষ্য।”
Read More News
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের নাগরিকদের মেধা ও শ্রম বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগের জন্য বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিসহ অন্যান্য বিদেশী ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করা হবে। চাহিদাভিত্তিক দক্ষতা সৃষ্টির জন্য নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বিশেষ অগ্রাধিকার লাভ করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত।”
বিএনপি চেয়ারপার্সন আরও বলেন, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি-র ক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশকে তাল মিলিয়ে চলায় সক্ষম করার লক্ষ্যে এবং প্রযুক্তি ও কৃৎকৌশলের বিষয়ে মানব সম্পদের উৎকর্ষ সাধন এবং অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে আমাদের লক্ষ্য।”
শিক্ষাখাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, “বাংলাদেশের মতো একটি সীমিত সম্পদের ঘনবসতিপূর্ণ দেশে শিক্ষা, প্রযুক্তির প্রসার ও মানবসম্পদ উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাকে কর্মমুখী ও ব্যাবহারিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করা হবে। উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা হবে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে সমৃদ্ধ। গুরুত্ব দেওয়া হবে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার উপর। গড়ে তোলা হবে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়।”
সব শেষে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও আইটি এবং ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে, যাতে মাদ্রাসা শিক্ষিতরা উৎপাদনশীল কাজ, চাকরি, অন্যান্য পেশা ও উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে পিছিয়ে না পড়ে।”
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপার্সনের সম্পূর্ণ বক্তব্যে কোথাও যেমন ‘ডিজিটাল’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি, তেমনি টেলিযোগাযোগ বা এ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় তাঁর বক্তব্যে আসেনি।