কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরকুইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ম্যালেরিয়ার এ ওষুধের পরীক্ষামুলক প্রয়োগ স্থগিতের দুইদিন পর ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্ত আসলো।
বুধবার ফ্রান্স সরকার জানিয়েছে, কভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল তা বাতিল করা হলো। এখন থেকে এ রোগীদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ আর ব্যবহার করতে পারবে না হাসপাতালের ডাক্তাররা।
Read More News
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ম্যালেরিয়ার এ ওষুধের পরীক্ষামুলক প্রয়োগ স্থগিতের দুইদিন পর ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্ত আসলো। এ ওষুধ মানব দেহের জন্য কতটুকু নিরাপদ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডব্লিউএইচও। ব্রিটিশ জার্নাল ল্যানসেট জানায়, যে সব রোগীদের ম্যালেরিয়ার এ ওষুধ দেয়া হয় তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি এবং হৃদযন্ত্রেও সমস্যা হয়। এছাড়া আরো হাতাশাজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে এ ওষুধে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ওষুধ ব্যবহারে ব্যাপক আগ্রহ দেখালেও যুক্তরাষ্ট্রেও হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন নিরাপদ প্রমাণ হয়নি। তবে কভিড-১৯ চিকিৎসায় বিশ্বে অনুমোদিত অন্য যেসব ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে, তা চলবে।
দুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) করোনার চিকিৎসায় এই ওষুধের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবুও মঙ্গলবার (২৬ মে) ভারতে করোনা চিকিৎসায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই ওষুধের। ভারতের শীর্ষ বায়োমেডিক্যাল রিচার্স সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)’ এই অনুমতি দিয়েছে।
তাদের মতে, ভারতে এই ওষুধটি করোনা রোগীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে এবং ছয় সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এটার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সুতরাং এই ওষুধটি চালিয়ে নেওয়া যায়।