নায়িকা সিমলা এখন কোথায়!

করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষই এখন ঘরবন্দি। ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা সিমলাও তাই। লকডাউন শুরুর আগেই তিনি অবস্থান করছেন ভারতের মুম্বাইয়ে। বর্তমানে সেখানে তার একাকি দিন কাটছে বলে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে মুম্বাইয়ের মীরা রোডের একটি বাড়িতে থাকছি। দেশে নিয়মিত যাওয়া আসা হয় আমার। এখন মুম্বাইয়ে একা সময় কাটছে।
Read More News

সিমলা বলেন, এবার প্রায় সবকটি রোজা রাখার চেষ্টা করেছি। তাই প্রায় পুরো মাসটিই কেটেছে ইবাদত বন্দেগিতে। করোনা নামের এক অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে লড়াই করছি আমরা। তবে এ লড়াই আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিচ্ছে। ভুলে যাওয়া ভ্রাতৃত্ববোধ আবার জাগিয়ে তুলছে। ঘরবন্দি থাকার কারণে পরিবারের মধ্যে আলগা হয়ে যাওয়া বন্ধনগুলো আবার একসুতায় গেঁথে দিচ্ছে। কিন্তু সারা দুনিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে তা অত্যন্ত বেদনার। তাই আমার অনুরোধ থাকবে করোনার আক্রমণ থেকে মুক্ত খাকতে সব নিয়ম-কানুন যেন সবাই মেনে চলি। ঘরে থাকি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখি। আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন এ করোনাভাইরাস থেকে আমাদের শিগগিরই মুক্তি দেন।

সামসুন নাহার সিমলা ১৯৮২ সালের ৪ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল মাজেদ ও মাতার নাম নুরুন নাহার। তিনি শৈলকূপা গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করে শৈলকূপা সরকারী কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং তার লেখাপড়ার ইতি ঘটে। ছয় ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে সিমলা সবার ছোট।

সিমলা গীতিকার-সুরকার মিল্টন খন্দকারের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালনায় ম্যাডাম ফুলি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি তার অভিষেক চলচ্চিত্রেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জুনে তিনি কলকাতার ‘সমাধি’ চলচ্চিত্রে গোবিন্দের বিপরীতে অভিনয় করেন।

সিমলা ২০১৮ সালের ৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জের পলাশ আহমেদ নামে এক যুবকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং একই বছরের ৬ নভেম্বরে ১০ মাসের মধ্যে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পলাশ আহমেদ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ ছিনতাই চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিহত হন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *