করোনা চিকিৎসায় এবার উত্তর প্রদেশে শুরু প্লাজমা থেরাপি

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশেও বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় ব্লাড প্লাজমার প্রয়োগ চালু জরুরি।

এন্টিবডি থেরাপি বা ব্লাড-প্লাজমা থেরাপি পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠা ব্যক্তির ব্লাড-প্লাজমা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করলে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। কারণ পূর্বে আক্রান্ত হতে নিরাময় হয়ে উঠা ব্যক্তির শরীরে এন্টি-কোভিড-১৯ এন্টিবডি উৎপন্ন হয়ে আছে।

করোনায় আক্রান্ত রোগীর উপর প্রয়োগ করা চীনের দুটি পাইলট স্টাডির ফলাফল প্রকাশ করেছে নামকরা বিভিন্ন গবেষণা সাময়িকী ও দৈনিক পত্রিকাগুলো। একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, উহান শহরের ডাক্তাররা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থেকে নিরাময়কারীর ব্লাড প্লাজমা (কনভালেসসেন্ট প্লাজমা) করোনাভাইরাসে মারাত্মক আক্রান্ত ১০ জন রোগীর উপর প্রয়োগ করে দেখলেন যে রোগীর ভাইরাসের লেভেল দ্রুত কমে গেছে এবং তিন দিনের মধ্যে রোগী ছোট-ছোট নি:শ্বাস ও বুকে ব্যথা থেকে অনেক উন্নতি হয়ে জ্বরও কমে এসেছে।
Read More News

এবার কোভিড চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ শুরু হল উত্তরপ্রদেশে। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত ৫৮ বছর বয়সী এক চিকিৎসকের শরীরে এই থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। ওই চিকিৎসকের শরীরে ২০০ মিলিলিটার রক্তরস সঞ্চালন করা হয়েছে।

যে চিকিৎসকের উপরে প্লাজমা থেরাপি করা হয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থার সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হচ্ছে। সব পরিকল্পা মাফিক চললে আগামী মঙ্গলবার তাঁকে দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হবে।

করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির বড় সাফল্যের সাক্ষী থেকেছে দিল্লি। চূড়ান্ত অসুস্থ এক ব্যক্তি সম্প্রতি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির প্লাজমা নিয়ে, আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে তা প্রবেশ করানো হয়। এতে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির অ্যান্টিবডি আক্রান্তের ভাইরাসকে মেরে, তাঁকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। করোনা থেকে কোনও ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পর ১৪ দিন তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হবে। তার মধ্যে একাধিকবার টেস্ট করা হবে। রেজাল্ট নেগেটিভ এলে, তাঁরই প্লাজমা নেওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *