ট্রাম্পের হুমকির পর ‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ’ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আমেরিকাকে রফতানি না করা হলে ভারতকে তার ফল ভুগতে হবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প  এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভারত ওই ওষুধ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শর্তসাপেক্ষে তুলে নিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের হানায় যে সব দেশগুলির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ তাদেরকে এরকম ২৬টি ড্রাগ সরবরাহ করা হবে তবে সেটা করা হবে ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর নিজস্ব প্রয়োজন মিটিয়েই।
Read More News

যেহেতু হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এখন ভারতেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে, তাই সেই ওষুধটির রফতানিতে ভারত নিজেও দ্বিধায় ভুগছে বলে তারা অনেকেই মনে করছেন।

বস্তুত ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকরী ওষুধ বলে পরিচিত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদা সারা দুনিয়া জুড়েই হঠাৎ করে সাঙ্ঘাতিক বেড়ে গেছে কারণ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাতেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই ওষুধটি বেশ ভাল কাজ করছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।

এই ওষুধটি ভারতেও বিপুল পরিমাণে কাজে লাগতে পারে, এই বিবেচনায় বিশ্বের বৃহত্তম জেনেরিক ড্রাগ রফতানিকারী এই দেশটি গত মাসে আচমকাই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সহ মোট ২৬টি ড্রাগ রফতানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে।

এতে প্রচন্ড চটে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের হয়ে জোরালো সওয়াল করে আসছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সোমবারের ব্রিফিংয়ে বলেন, “ভারত যদি এই নিষেধাজ্ঞা না-তোলে তাহলে আমি অবাকই হব, কারণ আমেরিকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভাল। তারা বহু বছর ধরে আমাদের কাছ থেকে বাণিজ্য সুবিধা নিয়েছে।”

“আমাদের ওষুধের জোগান যাতে পাঠানো হয়, সেটা বলতে আমি রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথাও বলেছি। যদি তারা না-পাঠায় তাহলে ঠিক আছে, কিন্তু আমরাও সে ক্ষেত্রে পাল্টা আঘাত করব।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারির পর ভারত অবশ্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মার্কিন চালানে আপাতত আর কোনও বাধা সৃষ্টি করছে না।

তবে তার আগে দেশের অভ্যন্তরীণ ও সেই সঙ্গে নেপাল-বাংলাদেশ-ভুটান-শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোর চাহিদা থেকে থাকলে সেটা আগে মেটানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *