আজ বরিশালে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান। শহরে প্রবেশের সব পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এর ফলে বরিশালও লকডাউন হল।
সোমবার বিকাল থেকেই প্রশাসন হার্ড লাইনে ছিল। এরপর শেবাচিম করোনা ইউনিটে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর যেন পুরো বরিশাল কেঁপে ওঠে। মানুষও আগের চেয়ে সতর্ক হয়ে উঠে।
Read More News
রোববার থেকে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বৃদ্ধি পেতে থাকে, বরিশালের প্রশাসনও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। সোমবার বিকাল থেকেই রাস্তায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে পুলিশ। মোড়ে মাড়ে পুলিশ আটকে দিতে থাকে সব ধরনের গাড়ি। এমনকি রিকসা, অটো, মটর সাইকেল সব। সন্ধ্যায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান সদ্য ভর্তি হওয়ায় এক ব্যাংকার। মুহুর্তের মধ্যে তা বরিশালে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশাসনের পক্ষে রাতেই মাইকিং করা হয়। ঘর থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে ঘরে নামাজ পড়ার আহবান জানানো হয়। যারা ঘোরাঘুরি করছিল, তাদের ঘরে যেতে বাধ্য করা হয়।
পুলিশের মটর সাইকেল বহর সারা শহর দাপিয়ে বেড়ায়। বন্ধ করে দেয়া হয় চায়ের দোকানও। নির্দেশ লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।