ব্রিটিশ রাজপরিবারের বাকিদের থেকে তাঁরা অন্যরকম। ছোট ছোট নানা ঘটনায় সে পরিচয় দিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান। কিন্তু তা বলে এমন একটা সিদ্ধান্ত, তাও রাজ পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে? বুধবার আচমকাই ডিউক এবং ডাচেস অফ সাসেক্সের ঘোষণা, ‘সিনিয়র রয়্যাল’ হিসেবে আর গণ্য হতে চান না তাঁরা।
৯ জানুয়ারি হ্যারি ও মেগান হঠাৎ ঘোষণা দেন, তারা রাজ পরিবারের সাথে থাকবেন না। আলাদা হয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করবেন। এরপরই তাদের আয়ের উৎস নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে তাদের নতুন কাজ কী হবে? তাদের আয়ের উৎস কী হবে?
Read More News
‘সিনিয়র রয়্যাল’ পদ থেকে সরে যাওয়ায় মেগা-হ্যারি সোভেরেইন গ্র্যান্ট আর গ্রহণ করবেন না। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের জন্য রাজপরিবারের সদস্যদের সোভেরেইন গ্র্যান্ট দেয়া হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সোভেরেইন গ্র্যান্ট হিসেবে ৮ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৯১০ কোটি টাকা) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এত সম্পদ আর রাজপরিবারের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে হুট করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করা খুব একটা সহজ নয়।
এরই মধ্যে কানাডাতে ফিরে গেছেন মেগান-হ্যারি। বড় পর্দায় হয়তো ফেরা হবে না মেগানের। তবে কানাডার টেলিনাটক স্যুইটস–এর প্রতিটি পর্বে অভিনয়ের জন্য ৫০ হাজার ডলার করে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন মেগান। অভিনয় ছাড়াও ‘প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট’ মর্যাদায় কোনো বড় পদে চাকরি করতে পারেন তারা। শোনা যাচ্ছে এই দম্পতি কোনো একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগের পরিকল্পনা করছেন।
সোভেরেইন গ্র্যান্ট গ্রহণ না করলেও প্রতি মাসে নিরাপত্তা বাবদ ১ লাখ পাউন্ড পাবেন হ্যারি। কোনো কাজ না করলেও মেগান এবং হ্যারির প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার সম্পত্তি আছে। এছাড়াও বন্ধুদের কাছ থেকে বিলাসবহুল নানা উপহার নিয়মিতই পান তারা।
প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স উইলিয়াম এবং তার তিন সন্তানের পরে ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি।