ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, গন্তব্যের এক স্টপেজ আগে নেমে পড়ায় নির্যাতনের শিকার হন।
ভিকটিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যাম্পাসের বাসে যাত্রা করি শেওড়া বাজার অভিমুখে। উদ্দেশ্য ছিলো বন্ধবীর বাসা এবং একসাথে পরীক্ষার প্রস্তুতি। কিন্তু পথের মধ্যে ভূল করে এক স্টপেস আগেই নেমে পড়ি কুর্মিটোলা হাসপাতালের কাছে। আর তাই গন্তব্যে পৌঁছাতে হাঁটতে শুরু করি রাস্তার পাশের ফুটপাত ধরে।
Read More News
‘আর সেখানেই সেই নরপশুটার নজরে পড়ি আমি। এরপর সে আচমকাই টেনে নিয়ে যায় আমাকে। দেয় হত্যার হুমকি। এসময় ভয়ে আর আতঙ্কে মুষড়ে পড়ি আমি। সে আঘাত করে আমাকে।গলা টিপে ধরে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড় দিতে থাকে। সে বারবার আমার পরিচয় জানতে চায়। আমি তাকে আমার পরিচয় দেইনি, কারণ পরিচয় জানলে যদি সে মেরে ফেলে আমাকে। পরে আমি সুকৌশলে পরিচয় গোপন করি এবং একসময় বাধ্য হই তার কথা মেনে নিতে। তারপর সেখান থেকে আমি আহত অবস্থায় শেওড়া বাজার থেকে রিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যাই।
আসামির চেহারার বর্ণনা জানতে চাইলে ভিকটিম জানায়, তার মুখে দুটি দাঁত নেই। তার শরীরের রঙ কালো। তার মাথার চুল কম এবং উচ্চতা পাঁচ ফুট চারের নীচে। পরনে ছিলো নোংরা পোশাক। আর ধারণা সে এসময় মাদকাসক্তও ছিলো।