রাজশাহী কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসে আজ বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুরুতর আহত এক ছাত্রকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ গেলে শিবিরের নেতা-কর্মীরা ওই ছাত্রাবাস থেকে পালিয়ে যায়।
Read More News
হাসপাতালে ভর্তি ছাত্রের নাম মো. মামুন। তিনি গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। হাসপাতালে ভর্তির সময় তিনি একবার নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা বলে দাবি করেন। তবে তারপর আর কোনো কথা বলেননি। কীভাবে তিনি হামলার শিকার হন তাও বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, দুজন ছাত্র অটোরিকশায় করে এনে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে রেখে চলে যায়।
নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, ছাত্রলীগের রাজশাহী কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাইমুল হাসান রাত নয়টার দিকে ছাত্রাবাসের একজন ছাত্রের সঙ্গে করমর্দন করতে গেলে ওই ছাত্র হাত সরিয়ে নেন। ওই ছাত্র নিজ থেকেই বলেন তিনি শিবির করেন তাই ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে হাত মেলাবেন না। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
তবে কলেজের একটি সূত্র জানায়, রাত নয়টার দিকে ছাত্রলীগের রাজশাহী কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাইমুল হাসান মুসলিম ছাত্রাবাসের নিউ ব্লকের দুজন ছাত্রের খোঁজ করছিলেন। কিছুক্ষণ পরে ওই ব্লকে নাইমুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ছেলেরা হামলা চালিয়েছে—এমন খবর পেয়ে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের ওপরে হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ হোস্টেলের ভেতরে প্রবেশ করলেও তারা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে যায়নি। পুলিশ যাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে শিবিরের নেতা-কর্মীরা ছাত্রাবাস ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এফ ব্লকের কয়েকটি কক্ষে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ নিচে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের বাধা দেয়নি। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ডেকে ঘটনা শোনেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
রাত ১১টার দিকে অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্বীকার করেন ছাত্রলীগের নেতারা নিউ ব্লকের একটি কক্ষ ভাঙচুর করেছে। ওপরে উঠে দেখেছেন সেখানে আর কোনো আহত ছাত্র নেই।