লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার দুই বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এ সময়ের মধ্যে দুবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাদের অনীহার কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। ফলে এই বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
Read More News
কক্সবাজার জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছরে রোহিঙ্গা শিবিরে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছে ৪৩ রোহিঙ্গা। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে আরো ৩২ রোহিঙ্গা। এ ছাড়া ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণ, চুরি, মাদক ও মানবপাচারসহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৭১টি। যার মধ্যে মাদক মামলা ২০৮, হত্যা মামলা ৪৩ ও নারী-সংক্রান্ত মামলা ৩১টি। এসব মামলার আসামি এক হাজার ৮৮ রোহিঙ্গা।
অন্যদিকে তারা চুরি ও হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে। রোহিঙ্গাদের নিজেদের মধ্যে সংগঠিত বাহিনী আছে।
‘কক্সবাজার বাঁচাও’ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান দাবি করেন, রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে। স্থানীয়দের কেউ কেউ নিহত হয়েছেন রোহিঙ্গাদের হামলায়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ দমনে প্রতিনিয়িত র্যাবের অভিযান চলছে। পাশাপাশি মাদক পাচারে জড়িত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। র্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে। টহল জোরদার করেছে র্যাব।
নিয়মিত টহল ও অভিযান জোরদার করেছে পুলিশ। কঠোর অবস্থান ও নজরদারি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।