ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গেই চলেছে। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও। ডেঙ্গুর জীবাণু আগের তুলনায় বেশ শক্তিশালী।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০৩ জন। যা আগের যে কোনো সময়ের রেকর্ড ভেঙেছে। এবার ডেঙ্গুর লক্ষণ ভিন্ন হওয়ায় বাড়ছে প্রাণহানির আশঙ্কা। উচ্চ তাপমাত্রা, তীব্র ব্যথা না থাকায় চিকিৎসকের কাছে যেতে যেমন দেরি হচ্ছে, তেমনি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও আছে বিভ্রান্তি।
Read More News
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা সময় ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় প্লাটিলেট হিসাবই সবার আগে বিবেচনা করা হত। আর প্লাটিলেট লাখের নিচে নামলেই দেয়া হতো রক্ত। তবে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট ন্যাশনাল গাইড লাইন ২০১৮ তে এসেছে নতুন নির্দেশনা। তাই চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্লাটিলেট দিয়ে রোগীর অবস্থা জানলেও ১০ হাজারের নিচে নামলে কিংবা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের আগে দিতে হয় না রক্ত। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে রক্তের অণুচক্রিকা নয় গুরুত্ব দিতে হয় ঘনত্বের দিকে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক বলেন, যে পর্যায়ে রোগী শকে চলে যায় ওটার নাম ডেঙ্গুর শক সিন্ড্রোম। ডেঙ্গুর শক সিন্ড্রোম মানে হলো রক্ত নালীর পুরগুলো খুলে যাওয়া, প্লাজমা লিকেজ হয়ে যায়। প্লেটলেট এখন আমরা দিচ্ছি না, প্লেটলেট এখন জরুরি না। কিন্তু প্লেটলেট দেখে আমরা রোগীর অবস্থান সনাক্ত করি। রোগী খারাপের দিকে যাচ্ছে নাকি ভালোর দিকে।
আগে থেকেই হার্ট, কিডনি সমস্যা আছে, শিশু, প্রসূতি মা কিংবা যাদের ওজন একটু বেশি তাদের চিকিৎসায় বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।