প্রকাশ্যে ‘তাসলিমা রেনু’ হত্যাকারী কে এই তরুণ

গুজব ছড়িয়েছিল পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে আর তাতেই ছড়িয়ে পড়েছে ছেলেধরা আতঙ্ক। আর এতে করে গত এক সপ্তাহেই মারা গেছেন প্রায় দশজন। যাদের মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন অনেকে।

শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাসলিমা বেগম রেনুর (৪০) মৃত্যু গোটা জাতির মনে দাগ কেটেছে। মা তার ছোট্ট মেয়েকে ভর্তি করার জন্য স্কুলের খোঁজ-খবর নিতে এসেছিলেন। ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে সেই স্কুলেই আটকে রেখে প্রকাশ্যে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
Read More News

রেনুকে পিটিয়ে হত্যার যেসব ভিডিও এখন পর্যন্ত প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তিন/চার তরুণকে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। তাদের ঘিরে ছিল শত শত উৎসুক জনতা, যাদের অধিকাংশই মোবাইল ফোনে ওই দৃশ্য ধারণ করছিলেন।

ভিডিও ফুটেজে যাদের হত্যাকাণ্ড ঘটাতে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে একজন ছিল নীল টি-শার্ট পরিহিত। ওই তরুণই রেনুকে পিটিয়ে হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল। রেনু যখন বেধড়ক পিটুনি খেয়ে নিস্তেজ হয়ে স্কুল কম্পাউন্ডে পড়ে ছিল, তখনও থামেনি ওই তরুণ। হাতে থাকা লাঠি দিয়ে রেনুর মুখে, বুকে, পেটে, হাতে ও পায়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে পিটিয়ে যাচ্ছিল। আশপাশের লোকজনের অনেকে থামো থামো আর মের না, মরে গেছে এসব বলে ওই তরুণকে থামানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু পাশবিক রূপ ধারণ করে সে তখনও রেনুকে প্রহার করে যাচ্ছিল।

জানা গেছে, রেনু হত্যায় নেতৃত্ব দেয়া নীল-শার্ট পরিহিত ওই তরুণের নাম হৃদয়। স্কুলের পাশেই তার একটি সবজির দোকান ছিল। তবে পড়াশোনা না জানা হৃদয় উত্তর বাড্ডায় বখাটে হিসেবেই পরিচিত। মাসখানেক আগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে একজনকে ছুরিকাঘাতও করেছিল সে।

হৃদয়কে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার সকালে বাচ্চু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে বাপ্পী, শাহীন ও জাফর নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *