হঠাৎ করে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। আমদানি করা (ভারতীয়) পেঁয়াজের কেজি ছিল ২৫-৩০ টাকা। কিন্তু শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু হঠাৎ কেন দাম বাড়ছে? এর জবাবে অতিরিক্ত গরম আর বৃষ্টিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
Read More News
তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এটা খোঁড়া যুক্তি। সরকারকে দাম বাড়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এর তদন্ত করে দোষী ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুবা বছরের পর বছর এই রীতি চলতে থাকবে।
ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রতিবছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিক্রেতারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে বছরে প্রায় ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। কোরবানির ঈদে বাড়তি আরো প্রায় ২ লাখ টনের চাহিদা তৈরি হয়। অর্থাৎ মোট ২৬ লাখ টন পেঁয়াজের দরকার হয়। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত হয় প্রায় ১৭ লাখ টন। ৭ থেকে ৮ লাখ টন ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
এনবিআরের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সে হিসাবে পেঁয়াজ ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু পেঁয়াজের চাহিদা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার অযুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ক্রেতাদের বাড়তি টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মূলত ভারত থেকেই বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেন। এ ছাড়া মিসর, চীনসহ কয়েকটি দেশ থেকেও আমদানি করা হয়।