প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের যে দেশেই যাই সেখানেই দেখি সবাই চায়, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাক। সমস্যাটা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যারা কক্সবাজারে গিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে, তারাই চায় না রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাক। কেননা রোহিঙ্গারা ফেরত না গেলেই তাদের সুবিধা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কক্সাবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তরের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছি। অথচ রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করল। তারা ভাষানচরে যেতে চায় না। এটা কারা করছে? ওই সংস্থাগুলোই করছে।
Read More News
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। পরে সেখান থেকে যান সৌদি আরবে। সবশেষ তিনি ফিনল্যান্ড সফর করেন।
রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব দেশই চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফেরত যাক। সমস্যা হলো মিয়ানমার তাদের নিতে চায় না। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার তাদের নিচ্ছে না।
চীন সফর করে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার চিন্তা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী জুলাই মাসে আমার চীন সফরের পরিকল্পনা আছে। সেখানেও আমি এ বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হুমকির কথা জানিয়ে মানুষকে ভীত করতে চাই না। এবারের ঈদ জামাত ও ঈদ উৎসব সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ১২ দিনের সরকারি সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।