ন্যান্সির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ও তাঁর ছোট ভাই শাহরিয়ার আমান সানির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সানিকে আজ শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

ন্যান্সি বলেছেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় আমি কাজ করব। তবে এটুকু নিশ্চিত থাকুন আমি এবং আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এই মামলা বানোয়াট।’
Read More News

মামলার বাদী নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই নদীরপাড় এলাকার সুলতান মিয়ার মেয়ে ও চার মাসের কন্যাশিশুর মা সামিউন্নাহার শানু বলেন, ‘২০১৫ সালে নেত্রকোনা সরকারি কলেজে লেখাপড়া করার সময়ে সানির সঙ্গে আমার হৃদয়ঘটিত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় পারিবারিকভাবেই সানির সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সানি বেকারত্ব দেখিয়ে বোন ন্যান্সি ও বোন জামাই জায়েদের সহায়তায় ও উসকানিতে বিভিন্ন সময়ে আমার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে দাবি করে এনে দিতে বাধ্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ আগস্ট রাতে আমার পরিবারের কাছ থেকে নতুন করে আরো পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার কথা বলেন। আমি বাবার বাড়ি থেকে টাকাপয়সা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, সানি ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে দুধ পান করানো অবস্থায় লাথি মেরে মেঝেতে ফেলে দেয়। আমাকে অমানুষিক অত্যাচার-নির্যাতন ও মারধর করে একপর্যায়ে শ্বাসরোধ হরে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার আর্ত-চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা সানির বন্ধুরা আমাকে উদ্ধার করেন।

বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক আমার পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশের সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়।

সামিউন্নাহার শানু গত ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় সানির বোন ন্যান্সি ও তাঁর স্বামী নাদিমুজ্জামান জায়েদকে নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যার পর পূর্বধলা রোডের সাতপাই এলাকায় ন্যান্সির বাসায় অভিযান চালিয়ে সানিকে গ্রেপ্তার করে। ওই মামলায় আজ দুপুরে সানিকে আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *