জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক সৈকতের খালাতো বোন সামিয়া শারমিন সামিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পরে পারিবারিকভাবেই সম্পন্ন হয় বিয়ে। বিয়ের পর প্রথম তিন বছর কেটেছে ভালভাবেই। কিন্তু শেষ তিন বছরে হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পরই নাকি অতীত ভুলতে শুরু করেন এই উদীয়মান ক্রিকেটার। একের পর এক ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে মোসাদ্দেক-সামিয়ার সংসারে। সবশেষ পারিবারিক ঝামেলা গড়ালো আদালতে।
আজ রোববার সামিয়ার বড় ভাই মোজাম্মেল কবির মামলা দায়ের করেন ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এক নম্বর আদালতে। মোজাম্মেল কবিরের দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, যৌতুক দাবির কথা।
Read More News
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোসাদ্দেক সৈকতের ঘনিষ্ঠজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মোসাদ্দেক হোসেন চট্টগ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে আসছিলেন। তার স্ত্রীর ধারণা, ওই মেয়ের চাপেই বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘরে বসেই বন্ধুদের নিয়ে মদপান করতেন মোসাদ্দেক। এছাড়াও নানান অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত হতেন তিনি। মূলত এসব কারণে প্রতিবাদ করায় সামিয়ার গায়ে হাত তুলতো মোসাদ্দেক।
এদিকে বাদীর আইনজীবী জানান, যৌতুকের দাবিতে মোসাদ্দেক দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। গত ১৫ আগস্ট দুপুরে তিনি ফের ১০ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সামিয়াকে উদ্ধার করেন। এরপর ঈদের বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয় তার স্ত্রীর।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে রোববার একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় সৈকতের মা পারুল বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। আদালত উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।