পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বহু সংঘাত-সংঘর্ষের পরও গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা।
প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল প্রার্থীদের সভা-সমাবেশ করতে দেখা যায়। এদিন ভোটারদের কাছে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
Read Our More News
এদিন লাহোরে বিশাল সমাবেশ করে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এদিকে দুর্নীতির দায়ে কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) হয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রচারণায় অংশ নেন শাহবাজ শরিফ।
সমাবেশে ইমরান খান বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই, এখনই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার উপযুক্ত সময়। আপনাদের সবাইকে ২৫ জুলাই ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আগামীকাল অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। বলা হচ্ছে, তারা রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করছে। এক্ষেত্রে তাদের পছন্দের প্রার্থী পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান।
বিরোধী দলগুলোর এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে সেনাবাহিনী। কিন্তু চারদিকে যে পরিবেশ তাতে সেনাবাহিনী ভূমিকা নিয়ে আসলেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ইমরান খান দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। তার সামনে এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশাও করছেন তেমনটা।
দেশজুড়ে নির্বাচনে মোতায়েন করা হচ্ছে ৩ লাখ ৭১ হাজার সেনা সদস্যকে। তাদেরকে দেয়া হচ্ছে বিচারিক ক্ষমতা। এমনই এক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের এক কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে পাকিস্তানে। এ মাসেই নওয়াজ শরীফকে দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তি দেয়ার প্রশংসা করেছেন ইমরা খান। নওয়াজ শরীফ রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হয়েছেন। এখন জেলে তিনি। তার দলের হাল ধরেছেন এখন তারই ছোটভাই, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। এ দলের নেতাকর্মীদের দাবি, নওয়াজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বা শাস্তি দেয়া তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইঞ্জিনিয়ারিং করে তা ঘটিয়েছে সেনাবাহিনী।