মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা শুনে কাঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার বেলা পৌঁনে ১২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও জনসভা শেষে রোহিঙ্গাদের সাথে খোলামেলা কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি এবং রাখাইন উগ্রবাদীদের হাতে আহত ও গুলিতে হাত-পা হারানো বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তাদের লোমহর্ষকর বর্ণনা শোনে আর চোঁখের পানি ধরে রাখতে পারেনি তিনি।
রোহিঙ্গা নারী, পুরুষেরা প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন। তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীও বাঁধ ভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রোহিঙ্গারা প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা’ ‘মা’ বলে কান্না করতে থাকেন। এসময় পুরো শরণার্থী শিবিরের আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে Read More News
এর আগে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পৌঁছে শরণার্থী ক্যাম্পের অভ্যান্তরে আয়োজিত জনসভায় তিনি ১৩ মিনিট বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যের মূল সারমর্ম ছিল, রোহিঙ্গারা মূলতঃ মিয়ানমারের বাসিন্দা। তারা শত বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু মিয়ানমার সরকার কি কারণে তাদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে গড়িমষি করছে তা আমাদের বোধ্যগম্য নয়। তবে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় রোহিঙ্গাদের মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।